কাব্যগ্রন্থ: “৭১ এর ইতিকথা” লেখক: অথই মিষ্টি
- অথই মিষ্টি ০৯-০৫-২০২৪

কাব্যগ্রন্থ : “ ৭১ এর ইতিকথা ”
লেখক: অথই মিষ্টি





















লেখক ও সম্পাদক
অথই মিষ্টি

স্ব-উদ্দগে প্রকাশক
অথই মিষ্টি










সূচি পত্র :
১. সবুজ পাখি
২. সবুজ বাংলা
৩. ওরা দোষরেরা
৪. ভয়াবহ একাত্তর
৫. আমি যুদ্ধে যাব
৬. বিদ্রোহী বীর বাঙালি
৭. অপেক্ষমান সজাগ জননী
৮. সৌভাগ্যবতী জননী সুফিয়া কামাল
৯. জয় বাংলা
১০. স্বরণে শহিদ
১১. চিরস্বরণীয় তাঁরা
১২. হে জননী
১৩. আজ এই দিনে
১৪. কালো রাঁত
১৫. এই ফাল্গুনে
১৬. অব্যক্ত কথা
১৭. সংগ্রামী ডাক
১৮. দেশ প্রেমিক
১৯. স্পর্শ কাতরতা
২০. বীরেরা
২১. মৃতদেহ
২২. নারী যোদ্ধা
২৩. সৃতির কাঁন্না
২৪. বিজয়ের দিন
২৫. আজ বিজয় দিবস
২৬. বাঙালির বীর নেতা
২৭. শত্রুমুক্ত জননী
২৮. স্ব-দেশ প্রেম
২৯. ফেরা









ভূমিকা: যুগ যুগান্তরের সাক্ষ্যি, মানব সমাজের আলেখ্য হলো ইতিহাস । ইতিহাসের দর্পনেই আমরা পরিপূর্ন ভাবে ঘটে যাওয়া অতিতকে প্রত্যক্ষ করি আর সে অনুযায়ী বর্তমান গড়ি এবং সুন্দর ভবিস্যৎ নিয়ে চিন্তা করি ।তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় সুন্দর বর্তমান এবং কাঙ্ক্ষিত ভবিস্যৎ গড়তে হলে ইতিহাসের অধ্যায়ন অপরিসীম ।
বাংলার ইতিহাস রক্তে লেখা প্রানে জাগা হাজার হাজার প্রানের বিনিময়ে অর্জন করা সদ্য পরিস্ফূটিত হওয়া তাঁজা ইতিহাস ।আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশের পিচনে স্পষ্ট উজ্জীবীত ৭১ এর ইতিহাস ।তাই এই স্বাধীন বাংলার মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, ঘটে যাওয়া ৭১ এর সেই রক্তে লেখা ইতিহাস সঠিক ভাবে জানা, তা স্ব-ইচ্ছায় আপন চিত্তে লালন করা, এবং সেই সু-বিশাল সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা ।
মূলত সেই ১৯৭১ সালের ইতিহাস স্বরণেই লেখা “৭১ এর ইতিকথা’’ এই ক্ষুদে গ্রন্ধখানা ।

অথই মিষ্টি
লেখক “৭১ এর ইতিকথা”























সবুজ পাখি

সবুজ রঙ্গের সবুজ পাঁখি
সবুজ ভূমিতে করে বাস ।
লাল রঙ্গেতে রাঙ্গিয়ে দিয়ে পাকবাহিনী
করলো সতেজ পাখির সর্বনাশ ।





















সবুজ বাংলা

শান্তির প্রতিক সবুজ
সেই সবুজে মাখা জননী।
তাঁর সর্বাঙ্গে প্রশান্তিরও চিন
রূপসী বাংলা ওসে মোদের জন্মভূমি ।

দোল খেলানো সোনালী ফসল
মাঠে ঢেউ খেলে যায় চিন্হ রেখে ।
সদ্য সবুজ কাঁচা খাঁটি সোনালী
যেনো রং তুলির ঐ গাঢ় রং মেখে ।

থৈ থৈ গাছ অথৈ বাঁতাশ
মৃদু বেগে ওসে বয়ে যায় উত্তরে ।
গ্রামের ফসল দাম নিয়ে আসে
বেচে দিয়ে বন্দরে ।

ফিরে পেতে চায়
সবুজের মায়ায়।
সোনার ফসল তাঁর সবুজ যৌবন
এই সবুজ বাংলার ছায়ায় ।

দিয়ে ভরপুর সবুজ বাংলার রেশ
সোনা ফলা সুফলা, এই সোনার বাংলা দেশে ।

ওরা দোষরেরা

ওরা বিমান যোগে, বোমা ছাড়ে
অসহায় বাঙালিদের উপরে ।
ওরা র্নিরবিচারে, মানুষ মারে
সুযোগ নিয়ে ধ্বংস করে ।

ওরা হায়না, ফিরে চায়না
তাদের এক বিন্দু মনুষত্বও জাগেনা ।
ওরা আধ মরা, ঐ খুঁটি ধরা
বৃদ্ধকেও ছাড়েনা ।

ওরা শকুন, হয়ে র্নিরঘুম
গভির রাঁত্রে হামলা করে ।
ওরা বেইমান, কেড়ে নেয় জান
দুই উদ্দেশ্যে নারীদের ধরে ।

ওরা বিদঘুটে, স্বাদে সখ করে
দুধের শিশুকেও মারে ।
ওরা কুকুর, হয়ে ফতুর
র্নিরবিচারে মানুষ মারতে পারে ।

ওরা আগুন দেয়, সব পুড়িয়ে দেয়
গ্রামের পর গ্রাম করে ছাই ।
ওরাস্বার্থন্যাশি, ওরা পরবাশী
ওদের পরকালের চিন্তা নাই ।

ভয়াবহ একাত্তর

একটানা
মৃত মায়ের লাসের পাশে
অবুজ শিশুর ক্ষুধার্ত কাঁন্না ।

জর্জরিত
দেখে এ দৃশ্য
ওদের বুক কাঁপেনা ।

ওরা হায়না
হানাদার পাকবাহিনী
মানবতা ওদের জাগেনা ।

আর্তনাত
একটানা দ্বিপ্রহরের
বিরহকাতর কুকুরের ডাক ।

দূষিত বাতাশ
হায়নাদের দেয়া আগুনে
পুড়ে যাওয়া গন্ধে ভরা গ্রামের নিশ্বাস ।

আজ উদাশী
বোমার বিকট দূষিত শব্দে
নির হারা পাঁখি ।

জলের মাছ
তাও রক্ত আর পঁচা লাসের কারনে
বাঁচতে পারেনা আজ ।

ওরা বেআদব
এই বাংলার শান্ত জমিন অশান্ত করে
সাজায়েছে তান্ডব ।

আমি যুদ্ধে যাব

আমি যুদ্ধে যাব,
মাগো,
আমি যুদ্ধে যাব ।
তোমার দোয়া রাঁখবো সদয়,
তুমি প্রান খুলে দেও মোরে বিদায়,
আমি যুদ্ধে যাব ।

আমি ফিরবো, না-কি ফিরবো না,
তুমি সে চিন্তায় ডুব দিওনা,
না তুমি পিচু পানে মোরে ডেকোনা,
তুমি মোর আগমণের দিন গুনিওনা,
তুমি মোর ভাবনায় নিজেকে ভাসিওনা,
না মোর পথের পানে চেওনা,
শুধু প্রান ভরে মোরে দোয়া দিও,
আমি যুদ্ধে যাব,
মাগো,
আমি যুদ্ধে যাব ।

এই দেশ মাতাকে বাঁচাতে,
এ দেশ শত্রু মুক্ত করতে,
দেশবাশীর হাঁসি ফিরিয়ে দিতে,
ওমা, সেই মহা উদ্যোগে,
আমার এ প্রান আমি দিব,
আমি যুদ্ধে যাব,
মাগো,
আমি যুদ্ধে যাব ।

হাজারো বৃদ্ধের বিরহ শেষ করতে,
শিশুদের র্নিরভয়ে মায়ের বুকে ফেরাতে,
পাঁখিদের কন্ঠে নতুন সুর তুলে দিতে,
সোনার ফসল তাঁর মালিক ফিরিয়ে নিতে,
বাংলার রাজপথ মুক্ত করে দিতে,
চিৎকার আর আর্তনাতে ভরা এ সময় বদলাতে,
অত্যাচারীদের এ অত্যাচার থামাতে,
আমি আমার এ জীবন বাঁজি রাঁখবো,
আমি যুদ্ধে যাব,
মাগো,
আমি যুদ্ধে যাব ।

যায় যাবে চলে এ প্রান,
বাঁচাতে বাংলার সম্মান,
বাঙালিদের এই মান,
আমি মৃত্যুর নিব ঘ্রান,
বিলিয়ে অসহায়দের ত্রান,
বাঁচাতে দেশবাশীদের জান,
আমি লড়েই যাব,
আমি যুদ্ধে যাব,
মাগো,
আমি যুদ্ধে যাব ।

বিদ্রোহী বীর বাঙালি

হে আজকের শিশু,
হে আগামি দিনের দেশ রক্ষক,
যদি কেউ প্রশ্ন করে তোমাকে,
পরিচয় দাও তোমার জাতির?

তবে বাতাশ হীনা বেলুনের মতো, যেওনা যেনো চুপশে,
আবল-তাবল বলতে গিয়ে, যেওনা যেনো হোচট খেয়ে,
ক্ষুদ্র ভেবে নিজেকে, মাথা করিওনা যেনো নিচু,
ভয়ের কবলে পরে, যেনো তুমি বারায়ওনা পা পিচু,
দূরর্বল ভেবে নিজেকে, তুমি করিওনা তোমার হৃদ কম্পনকে উচু,
অজানার বসে বলিওনা যেনো, না, জানিনা আমি কিছু,

তবে,
তবে, যেনে নেও তুমি,
শুনে নেও তুমি,
বুঝে নেও তোমার পরিচয় ।
না, তুমি মিছে নও,
তুমি বাঁচা নও,
তুমি সাহসী বীরের উত্তরসুরী,
করতে পারো বিশ্বজয় ।

মুচকি হেঁসে, শক্তিশালী মেরুদন্ড নিয়ে, দ্বারাইও তার পাশে,
যে তোমায় নিচু করার উদ্দেশ্যে, এ প্রশ্ন করে উঠবে হেঁসে,
বলিও,
মোরা ত্রিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে কিনেছি,
পথে-ঘাটে, মাঠ-প্রান্তরে রক্ত ঢেলেছি,
নারী-শিশু, বৃদ্ধকে মোরা হারায়েছি,
বিনিময়ে এই প্রানভূমিকে পেয়েছি,
মোরা ভোরের আলোতে সদ্য ফোটা রক্ত গোলাপের ফুল কলি,
মোরা বাংলা ভাষাকে অর্জন করে সেই ভাষাতেই কথা বলি,
মোরা সত সাহসের সাহস নিয়ে সাহসিকার ন্যায় পথ চলি,
বীরের রক্তে রাঙ্গা আমরা বিদ্রোহী বীর বাঙালি ।


অপেক্ষমান সজাগ জননী

কোথায় খোকা ?
এই ঝাঁপশা চোঁখে, স্পষ্ট আর দেখিনা ।
ঠাঁ ঠাঁ এই চৈত্রের রোদে, আমার চোখে কুয়াশা ।
আমার মনে দো আশা ।

গমনের এই পথের ধারে দ্বাড়িয়ে
আজ দীর্ঘ বিশটি বছর ধরে
এই বুঝি আগমন, এই বুঝি আগমন
এই বুঝি আগমন করে করে
শুকিয়ে যাওয়া এই কলিজাটা ভরে
এই বুঝি এসে দ্বারালো খোকা মোর দুয়ারে!
কাঁনে পৌচ্ছালো সেই মধুমাথা কন্ঠ
উত্তেজিত হয়ে ডাঁকে খোকা
মা, মাগো, মা, করে করে।

চমকে উঠে, দুহাতে চোখের পানি মুছে
উদাসীন হয়ে বেপরয়ার মতো এমোর খন্ডিত কলিজাকে খুঁজে যাই
কিন্তু
নাহ্,
সে আসে নাই
খোকা আসে নাই।

হতাশার দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে পূনরায় সেপথের ধারে দ্বাড়িয়ে
অপেক্ষমান জননী আমি
খোকার আগমনের পানে তাঁকাই …


সৌভাগ্যবতী জননী সুফিয়া কামাল

ওগো মা তুমি ধন্য,
শহিদ জননী হবার জন্য ।
তোমার এক সন্তানকে তুমি দেশের তরে বিলায়েছো,
বিনিময়ে গোটা দেশের সমস্ত সন্তানদের তুমি আপন করে পেয়েছো ।

তুমি এক শ্রেষ্ট জননী মা
সোনাগর্ভা সৌভাগ্যবতী।
নক্ষত্রের ন্যায় ছড়ায়েছো তুমি
গোটা দেশে সার্থকতার জ্যোতি ।

আজ তাই তো ডাকে তোমায়
সবে শহিদ জননী বলে ।
তুমি চলে যেয়েও যাওনী চলে
রয়েছো সকল সন্তানের অন্তরে ।

তুমি পুষ্পের ন্যায় ফোটায়েছো মা
তোমার বীর কেশরী সন্তানকে ।
হাঁসি মুখে দেশের তরে বিসর্জন দিয়েছো
তোমার বুকের ধন সে মানিককে ।

তুমি ভালোবেসেছো এ দেশের মানুষ
এই দেশের মাটিকে ।
তোমার জন্য হাঁসে এ দেশে
জাগে এ দেশের স্তরে স্তরে,
তুমি শহিদ জননী বলে ।

হাজার হাজার সন্তান ডাকে আজ জননী, জননী বলে
গহিনের গহিন থেকে মন,
কে আছে সৌভাগ্যবতী হে জননী ?
(সুফিয়া কামাল) তোমার মতন ?

জয় বাংলা

জয় জয় জয়, বাংলার জয়
ধ্বনিতে তোলো ঝড় ।
ভাষিয়ে দেও বিজয়ের জলে,
রক্তে রাঙা বেদনার বহর ।

জয় বাংলার ধ্বনিতে ওমা,
ভূলে যাও তোমার সন্তান হারা বেদনা ।
বিজয়ের মাঝে নিজেকে বিলাও,
আজ আর বিরহের গান গেওনা ।

আজ মোরা জয়ী, ওরা পরাজয়ী,
তা-কি মা তুমি জানোনা?
তুমি একের বদলে হাজার পেয়েছো,
তোমার তুলনা যে মা হয়না ।

জয় জয় জয়, বাংলার জয়,
জয়ী আজ মোরা সবে ।
সাড়ে নয় মাস যুদ্ধের পরে মোদের মতো,
বিজয়ী হয়েছে কে কবে?

স্বরণে শহিদ

মাঘের শীতে, কুয়াশার সু-প্রভাতে
প্রতি বছর নতুন করে আজো তাঁরা জাঁগে ।
ফাল্গুনের ফুলে, প্রজাপতি দোলে
সে ফুলের মতো সাজানো সৃতি জাবেনা কেউ ভূলে ।

স্ব-যত্নে যত্ন করে, প্রত্যেক শহিদের তরে
সম্মান আর শ্রদ্ধা রাঁখা আছে প্রান ভরে ।
এ মাটির বুকে শায়িত, সালাম বরকত আরো কত
দেশকে ভালোবাসতে আজো রত ।

এদেশের প্রতিটি ধূলিকণা, ভালোভাবেই আছে জানা
তাঁদের সৃতিচারণে আজো অশ্রুর বন্যা ।
আজো ফোটে ফুল, তাঁদের সৃতিচারণে
ভোরের রবি জাগে শহিদের স্বরণে ।

তাঁরা স্বরণীয়, তাঁরা বরণীয়
তাঁরা চিরউজ্জল সমুদ্রের ঢেউ ।
তাঁদের মতো অমর অতুলনিয়
এই বাংলার বুকেআর নয় কেউ ।

চিরস্বরণীয় তাঁরা

শীতের পরে শিমুল ফুলের লালে,
আজো স্পষ্ট যেনো, শহিদী বুকের তাজা রক্ত জ্বলে ।
রাঁত্রি শেষে শিশির ভেজা ঘাষে,
ভোরের আলো রুপে যেনো, একাত্তরের শহিরা ওঠে হেঁসে ।

সবুজে ভরা দিগন্ত এই বাংলার ছবি,
সে ছবির মাঝে নিপুন ভাবে স্থান দেয় শহিদের, দেশপ্রেমি কবি ।
এ বাংলার পরতে পরতে স্থরে স্থরে,
সাহসী বীরদের ঠাঁই দেয় কবি কবিতায়, প্রতিবার নতুন করে ।

ক্ষুদে ধূলিকণা থেকে বিশ্বের বিশাল আসমান,
সব খানের শহিদ বীরদের রক্ত লেগে হয়েছে মহিয়ান ।
আজো বাংলার বাতাশে শোনা যায় একাত্তরের আর্তনাদ,
যেনো সবেমাত্র, এসে বিদলো্ বুকে হানাদারের আঘাত ।

এখনো তাকালে বাংলার মেঠোপথে দেখা মিলে ছিন্নবিন্ন লাশ,
যেনো বিষাক্ত সাপে করতেছে, এই সবুজ বাংলাকে গ্রাশ ।
তারই প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিলো বাংলার বীরেরা,
তাই আবির মেখে শায়িত আজো এভূমিতে, সেই শ্রেষ্ট শহিদেরা ।
তাঁরা আজো দেয় যেনো র্নিরঅলস ভাবে এই বাংলাকে পাহারা,
মিশে থাকবে চিরদিন প্রত্যেক বাঙালির অস্থিতে তাঁরা ।

হে জননী

হে জননী!
বছরের পর বছর ধরে,
আকুল করে,
ডেকেছি তোমায়
তবে, কেন তুমি মাননী!
ব্যকুল ভক্ত তুমি,
অভাগা সন্তান আমি,
নির্দিষ্ট এ আমায়

হে জননী!
বছর ফূরালো,
নতুন দিন এলো,
এই ভূবনেরও তরে
তবুও, তোমায় ভূলতে পারিনী!
আজো অশ্রুজলে ভাসো,
মধূময় মৃদু হাঁসো,
আমার প্রতিটি প্রহরে

হে জননী!
এ মোর ভাঙা পাজরে,
আছো জড়িয়ে,
মোর অস্তির অস্তিত্বে
এ চিত্তে তোমার স্নেহস্পর্শ মেলেনী
তুমি নিজেকে গুটিয়ে,
অনুপম পুষ্প ফুটিয়ে,
কেমনে দূরে রয়েছো অপূর্ব মাতৃত্বে ?

হে জননী!
বারবার এসেছি ছুটে,
শত অজুহাতে তোমার নিকটে,
তুমি শুধু তাকিয়েই ছিলে
এদৃষ্টিতে ভাসা আকুলতা বোঝনী!
সে-কি বিরহের অগ্নিতান্ডব আমার অন্তরে,
তা তুমি বুঝবে কেমন করে?
শোন, তোমার নিকটে এলেই শান্তি মিলে

হে জননী!
জানি তোমার ত্রিশ লক্ষ সন্তানের ভিরে,
আর আপনো সংসারে,
শুধু নতুনত্বকেই ঘিরে
নাহে, এ আমার খবর রাখনী!
এ অভাগা আমি বারবার,
করে প্রান পণে চিৎকার,
তোমায় আপন জননী বলে এবার পেতে ফিরে

হে জননী!
তুমি আপন সন্তানকে তো ভোলনী,
রেখেছো বুকে ধরে,
কলিজায় আপন করে,
তবে, কেন মোরে আপন মাননী!
আমিওতো আপনত্বের শিকলে বেঁধে,
চিরোচেনা আপন জননী করে,
এ কলিজার অন্তরালে, রেখেছি তোমারে,

হে জননী!
তুমি নিজের মতো,
রয়েছো অবিরত,
নিজেকে নিয়েই আছো,
এ অসহায়ের খবর রাখনী!
ওহে, তোমার বিরহে নিজেকে বাঁধি,
আমি প্রতি নীশিতেই কাঁদি,
স্পষ্ট এমোর অশ্রুজলে ভাসে তোমার সৃতি ।


আজ এই দিনে

আজ এই দিনে বাংলাদেশ মোর অপরূপ
শহিদ মিনারে দেয়া শহিদ সৃতিতে ফুলের স্তুপ ।
লাল হলদে সেই ফুলে আজো মিলে শহিদের তাঁজা রক্তের ঘ্রাণ
আজ এই অপূর্ব বাংলাদেশ যাদের তাঁজা প্রানের দান ।

তাই আসে আজো ছুটে সন্তান হারা মা, আর সব স্বজন
আজকের এই অপূর্ব দেশের তরে যে তাঁরা হাড়ায়েছে, প্রানপ্রিয় আপনজন ।
তাঁরা আজো ভোলেনি, কভূ ভূলবে নাকো কোনো দিন
প্রিয়জনের প্রানহারা, খুনরাঙা সে দিনের বদৌলতে যে পাওয়া, আজকের এই দিন ।

কালো রাঁত

হঠাৎ আওয়াজ,
খই ফোটাচ্ছে মেশিনগান,
কোলাহলে আর্তনাত,
সহস্র চিৎকারে বিনষ্ট তাঁজা প্রান ।
নারী শিশুর একটানা,
প্রান বাঁচার তাগিদে সে কাঁন্না,
অশ্রুঝড়া হাহাকার,
আর স্তব্দ থাকা যায়না ।

ঘুমন্ত নীরে,
দিয়ে আগুনে পুড়ে,
দানব হাঁসিতে হাঁসে ওরা,
অসহায় বাঙালিদের মেরে ।
সে হঠাৎ চিৎকারে,
কেঁপে ওঠে বুক,
গুলির শব্দের পর,
একদম হয় নিঃচুপ ।

হঠাৎই বোমার আওয়াজ,
উড়িয়ে দেয় বাড়ি,
জলপাই রঙের টেংগের শব্দ,
আক্রমনে দানবের গাড়ির পরে গাড়ি ।
আজো চোখে ভাঁসে,
পঁচিশে মার্চের সেই কালো রাঁত,
অগনিত বাঙালিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো ওরা,
বেঁধে চোখ আর বেঁধেছিলো পা-হাত ।

স্পষ্ট আজো,
সে-কি আর্তনাত,
ভয়াল অন্ধকারে,
গাঢ় তাঁজা রক্ত মাখা,
প্রান হারা সেই রাঁত ।

এই ফাল্গুনে

এই নিখিল বাংলায় আজ ফাল্গুন জেগেছে
গাছে গাছে নতুন ফুল হেঁসে উঠেছে ।
সে নতুন ফুলেও রাঙা রক্তের ছাপ স্পষ্ট
এই ফাল্গুনে ভ্রমরের গুনগুনে তাও অশ্রুজলে সিক্ত ।

হায়, নির্মল এই দিন, রক্তরাঙা আজ এই প্রভাত
ফুটে ওঠা গোলাপ যেনো শহিদের রক্ত ঝড়া ছিন্ন হাত ।
রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়ার উঁচু ডালে কোকিলের কন্ঠে করুন সুর
ফাল্গুনের এই অপূর্ব দিনে, ডুবে যাই সৃতিময় সে একাত্তরের সু-দূর ।

পহেলা ফাল্গুনেই শহিদের সৃতি পড়ে ধরা
দিনের পর দিন পর পর মাস প্রত্যেক ঋতুই একাত্তরের সৃতিতে ভরা ।
সে একাত্তরে র্নিবিচারে হাড়ায়েছে কত প্রান
অমর সে শহিদেরা, চিরো মহা মহিয়ান ।

অব্যক্ত কথা

ওরে কোথা তোরা,
হসনে আজ দিশেহারা
স্পষ্ট খাঁটি বাংলায় অব্যক্ত কথা
আক্রমনে প্রকাশ কর আজ দিয়ে ওদের প্রানে ব্যথা ।

ওরে ভয় পাশনে,
শক্তিশালী তোদের হাত গুটাসনে
নিখুঁত দক্ষতায় শক্তকরে অস্ত্র তোল
সর্বহারা মারছে যারা ওদের মেরেই উচ্চ শিরে দ্বারা
নিখিল বাংলায় জাগিয়ে সাড়া জয় বাংলা বল
তোরা দক্ষ হাতে শক্ত করে অস্ত্র তোল
যেনো ভয়ে কাঁপে কাপুরুষেরা ।

আজ বিদ্রোহী হয়ে দ্বারা
নিশ্চুপ হয়ে থাকিসনে আর সুয়ে মায়ের কোলে
ওরা তোর শ্রেষ্ট জননী জন্মভূমিকে ছিন্নভিন্ন করতে এসেছে কৌশলে
কোথা ওরে বাংলার ঘরে ঘরে তেজী সন্তানেরা
র্নিবিচারে অত্যাচারের প্রতিবাদী হয়ে দ্বারা ।
বুঝিয়ে দে ওদের তোরা অব্যক্ত কথা
দেখিয়ে দে ওদের জ্বলে ওঠা শান্ত ছেলেদের অবস্থা ।

সংগ্রামি ডাক

শব্দের পরে শব্দ সাজিয়ে যেমন তৈরি হয় কবিতা
আয় তোরা সবে সংগ্রাম করে পাল্টে দিবো দেশের মানচিত্রটা ।
রং তুলি আঁকা এই ভূ-খন্ডে এঁকে দিবো নতুন বাংলাদেশ
ওরা, যারা মানুষ মারছে ওদের মেরেই করবো শেষ ।

আয় তবে আজ হাতে হাত মিলে নেমে যাই প্রতিবাদী সংগ্রামে
আসুক যত আঘাত সয়ে যাব মোরা বুক পেতে, বিধাতার নামে ।
মোরা দূর্বার বেগে লড়ে যাব ওরে, করবোনা কোনো ভয়
আর বর্জ্রকন্ঠে বলবো মোরা জয় বাংলা, জয় , মুক্তির জয়…

দেশ প্রেমিক

ওরা প্রেমিক ,
ওরা খাঁটি দিলে প্রেম করেছে,
এতটাই গভির সে প্রেম,
গভিরতায় সে প্রেমের মাঝে মলিন হয়েছে ।
ওরা প্রেমের মুখের তৃশ্না মিটিয়েছে,
বুকের তাঁজা রক্ত দিয়ে,
ওরা প্রেমিকাকে রক্ষা করেছে,
অত্যাচারীদের জীবন নিয়ে ।

ওরা এক এক করে ফিরায়া দিয়াছে,
প্রেমেতে পরা প্রতিটি আঘাতের প্রতিদান,
ওরা প্রেমের স্বার্থে প্রেমিকাতে পেতে,
হাঁসিমুখে করেছে জীবন দান ।
তাই যুগে যুগে প্রেমের কাব্যে,
শ্রেষ্ট কাব্যিক তাঁরা,
আজো যেনো র্নিরঘুম নিশিতে ওরা ,
প্রেমিকাকে দিয়ে যায় পাহারা ।



স্পর্শ কাতরতা

মাগো, তোমার স্নেহের পরশের স্পর্শ কাতর করুন সুরের সে ডাক
যে আমি, আজো শুনতে পাই ।
তবে বল মা, ওমা, কোন পরানে পাথর হয়ে
সে আমি, তোমায় ভূলে যাই?

ছায়াময়ী, মায়াময়ী, বটবৃক্ষের ন্যয় দিয়াছো
মাগো, তোমার ছায়াতলে এমোরে ঠাঁই ।
এই মহাবিশ্বের, মহাগ্রহের, মহাভূবনে এ জীবনে
এতোখানি প্রানে শীতলতা পেছেছি ওমা, এক জীবনে কিছু আর চাহিবার যে মা নাই!

বীরেরা

কনকনে শীতের রাঁত্রে যখন হিংস্র শকুনেরা
ইদুরের ন্যায় আপন গর্তে,
তখনো বাঙালি বীর বাঘেরা চিরসাহসী হয়ে
তাদের গর্ত ওড়াতে রয়েছে মাঠে-ঘাটে ।

যখন বর্ষার থৈ থৈ অথৈ জলে ওরা লেজ গুটিয়ে
জীবন বাঁচাতে লুকিয়েছিলো নৌকায়,
বাংলার মাঠ-ঘাট, প্রান্তর আর জলরাঁশি বিষমুক্ত করতে
তখনো ওদের নৌকা ডোবাতে বীরেরা সে জলে সাতরায় ।

তারপর ফাল্গুনের ফুটন্ত ফুলের ঘ্রানে পরাগ রেনুতে
যখন দস্যুরা তাঁজা প্রানের দাগ গেলে দিয়েছিলো ।
এক এক প্রানের বিনিময়ে বীরেরা সিংহের ন্যায়
ওদের প্রান কেড়ে নিলো, আর দাগমুক্ত ফুল ফোটালো ।


মৃত দেহ

সেই সে প্রভাতে
প্রান দিয়ে গেলো
শানিত ছুরিকাঘাতে
এ বুকের ধন
পাষন্ডদের হাতে ।

দিয়ে গেলো মান
নিথর সে রক্তাত্ত দেহ
দিয়ে গেলো সম্মান
ছেড়া কাপরে জড়ানো ছিলো
পরেছিলো কাঁসবনে ছিন্নভিন্ন দেহ
ছিলো না শুধু তরতাজা প্রান ।



নারী যোদ্ধা

ওরে পরাজয় নয়, জয় করে মোরা, অর্জন করবো বিজয়
নারী মোরা পারি, ত্যাগ করে বাড়ি, সাহসীকা দিয়ে বিদ্রোহকে সঞ্চয় ।
আজ বীর যোদ্ধার দেশে, মুক্তিকামীর বেশে, মোরা র্নিভয়ে অস্ত্র হাতে তুলবো
মোরা কেন পরাধীন, হবোই স্বাধীন, স্নেহের পিচুটান সব ভূলবো ।
মোরা লড়ব, মোরা লড়ব, মোরা দেশকে স্বাধীন করব ।
মোরা জাগব, টিকে থাকব, আর অস্থিত্বের মানচিত্র আঁকব ।

মোরা প্রতিবাদী, মোরা নারী জ্যোতি, অন্ধকারে জ্বালাব আলো
মোরা নিজেকে, নিজ জাতিকে, আর দেশকে বাসি ভালো ।
বিন্দু বিন্দু দেওয়া যাতনা, আর প্রশ্রোয় দিবনা, মোরা প্রতিবাদী হয়ে উঠবো
একে একে প্রতিদান দিয়ে, সব আঘাতের হিসাব নিয়ে, মোরা তান্ডব লীলা সাজাবো ।
মোরা প্রত্যেকটা গুলিতে, দিবো ঘাতকদেরই নাম লিখে, সেই গুলি দিবো ছুড়ে
মোরা হাত সাজাবো রক্তে লাল, করে ওদের বেহাল, হবো র্নিভিক নিয়ে ওদের প্রান কেঁড়ে ।
মোরা লড়ব, মোরা লড়ব, মোরা দেশকে স্বাধীন করব ।
মোরা জাগব, টিকে থাকব, আর অস্থিত্বের মানচিত্র আঁকব ।

সৃতির কাঁন্না

শিশির ভেজা ঘাষ যেনো আজও তাঁদের স্বরণ করে,
প্রতি প্রহরে পথ চেয়ে সন্তান হারা মায়ের অশ্রুঝড়ে পড়ে ।
শত শত বোনেরা আজও কাঁদে ভাই ভাই বলে,
কন্যা হারা পিতা কাঁদে ছোট্ট মেয়ে মোর অকালে গেলো চলে ।

পথ কাঁদে ওরে নিঃশব্দে করুনা করে,
বীরেরা পথিক হয়ে যে আর পথ চলে না, শহিদ হয়ে ঘুঁমপাড়ে ।
পাখি ডাকে তাঁরা কই তাঁরা কই বলে,
যারা দেশের তরে গেলো প্রান উৎসর্গ করে ।
এই দিবালোকের নিস্তব্দ ডাক,
আজো কান পেতে রইলে স্পষ্ট শোনা যায়, সে কি আর্তনাত ।

বিজয়ের দিন

দে আজ চিরবিজয়ের নিশান খানা উড়িয়ে,
নে আজ হাঁড়িয়ে ফেলা সব স্বপ্ন কুড়িয়ে আর ফিরিয়ে ।
জয় বাংলা, বাংলার জয় ধ্বনিতে তোলো সবে ঝড়,
ওরে ফুরালো আজ রক্তে গাঁথা যুদ্ধের প্রহর ।
আজ বিজয়ের দিন, সব দুঃখ বিলিন ।
তোলো সবে ধ্বনি তোলো, আজ বাংলা স্বাধীন হলো ।

আকাশে বাতাসে ধ্বনিত আজ চিরবিজয়ের এই স্লোগান,
ইতিহাস হবে এই যুদ্ধ, হবে চিরস্বরণীয় মহান ।
এই স্বাধীনতার জন্য দিলো হাজার হাজার প্রান,
আজ অর্জিত হলো সেই স্বাধীনতা, প্রান খুলে গা গান ।
তাই দে উঁড়িয়ে গর্বিত হয়ে চিরবিজয়ের এ নিশান,
ফূরালো সব জমা ছিলো যত ঋন,
আজ বিজয়ের দিন, আজ বিজয়ের দিন,
ছিলো যত সব দুঃখ হলো বিলিন ।
তোলো সবে ধ্বনি তোলো, আজ বাংলা স্বাধীন হলো ।

আজ বিজয় দিবস

মোরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ
স্বাধীন ভাবেই চলবো ।
মোরা ইতিহাসে লেখা একাত্তরের সে
বিজয়ের কথা বলবো ।

আজ মহান দিবস মহান দিন
রক্তে লেখা বিজয়ের দিন ।
সৃতির পাতায় আজ স্পষ্ট
চিরো স্বরণীয় আজকের দিন
বিজয় দিবসই শ্রেষ্ট ।

বাঙালির বীর নেতা

হে বাঙালি নেতা,
উজ্জীবীত করলে লক্ষ জনতা ।
জয় বাংলা, বাংলার জয় ধ্বনিতে তুমি,
জাগিয়ে তুললে জনতা, হে বাঙালির বীর নেতা ।

তুমি তোমার কথায় জাগালে জনতা
তুলে জনসমুদ্রে ঝড়,
তোমার কথায় রাজপথে ভির
মুক্তিকামী জনতার বহর ।

তুমি জনতার সে মঞ্চে দ্বারিয়ে
বুক ফুলিয়ে দিয়েছিলে সেই কথা,
তোমার কথায় মাঠ-প্রান্তরে নেমেছিলো জনতা,
আর বিদ্রোহী হয়ে যুদ্ধ করে আনলো স্বাধীনতা ।
হে নেতা! হে নেতা!
তুমি এই বাংলার স্থপতি আর
বাঙালির বীর নেতা ।

শত্রুমুক্ত জননী

কালো মেঘের সে ভয়াবহ থাবা হতে,
মুক্ত আজ বাংলার সূর্য ।তৌর্য, মুক্ত বাংলার আকাশ,
বাতাশ আজ বারুদের বিষাক্ত গন্ধ মুক্ত ।
যুক্ত আজ বাংলায় শান্তির প্রশান্তি ।

স্বাধীন । স্বাধীন আজ বাংলা, বিরক্তি হীন
নিরালা । বসে জননী আজ প্রশান্তির দীর্ঘশ্বাস নিবে,
একলা ।সে, এক প্রশান্তির দীর্ঘশ্বোসে,
যদি যায়, তবে যায় যাক ডুবে বেলা । মুক্ত যে আজ,
জননী । হয়েছে শত্রুদের সে বিষাক্ততার যন্ত্রনার বিচ্ছেদ জ্বালা ।
তাই তো চারদিকে প্রশান্তির নিঃশ্বাসে, ভরা আজ
সারা বাংলা ।

বাংলার ভূখন্ড আজ চিরশান্ত ।যদিও এলোমেলো,
আর সব কিছু লন্ডভন্ড ।তবুও আজ থেকে,
এই বাংলায় প্রশান্তির সু-বাতাশ বইবে ।
ঘরে ফিরে, ক্লান্ত খোকা, আল্ত কাঁন্নায় ভেঁজা ভেঁজা
দু’চোখে ।মাকে তার, দীর্ঘ ন’মাসের বিদ্রোহের গল্প কইবে ।


স্ব-দেশ প্র্রেম

স্ব-দেশ প্রেমে যাহার হৃদয় চঞ্চল নয়,
সে আর যাই হোক,
সু-মানবতার মানুষ নয় ।

যুগে যুগে স্ব-দেশ প্রেমে যে জন,
সপিয়াছে আপন প্রান ।
রয়ে গেলো ইতিহাসে তিনি স্বরণীয় হয়ে,
হলো তাঁর কর্ম মহান ।

স্ব-দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ,
বলে গেলেন ইসলামের নবী ।
অন্যথায় মিথ্যে ওরে,
স্ব-দেশ প্রেমহীন বৃথা সবি ।

ফেরা

নিয়ে অন্তিম আকুলতা,
অন্তরে সে দৃশ্যই স্পষ্টতা,
আর অদেখা অশ্রুতে রক্তিমতা,
স্থায়ী প্রিয় জননীই সর্বদা ।

ফেলে হাঁড়িয়ে দিশা,
যত ছিলো প্রতিশোধের নেশা,
হাঁসিমুখে আজ ফিরলো খোকা ঘরে ।
ফিরে দেখে সব কিছু লন্ডভন্ড,
ঐ হায়নাদের তরে,
প্রানপ্রিয় মা, সেও মর্মাহত আর,
ছোট্ বোন গিয়েছে মরে ।
তবুও আজ বিজয়ের আনন্দে
ঘরে ফিরে খোকা, উঠনে দ্বাড়িয়ে
আনন্দের অশ্রুজল স্বাধীন বাংলার ভূখন্ডে ফেলে ।
সহস্র স্নেহের পরশে জননীকে জড়িয়ে ধরে
দেয় ভালোবাসার কাঁন্নায়, মায়ের বুক পরিপূর্ন করে ।
ফেরে,
আজ খোঁকা, বিজয় নিয়ে ঘরে ফেরে ।























লেখক পরিচয় : রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ৯নং দামোদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আমরুলবাড়ী হাটখোলা পাড়ায় ২০০৪ সালে পহেলা ডিসেম্বরে জন্ম গ্রহন করেছি আমি অথই মিষ্টি ।আমার স্ব-শ্রদ্ধেও পিতা আব্দুর রহিম এবং মাতা লাইলী বেগম এর সর্ব কনিষ্ঠ্য সন্তন আমি ।২০২১ সালে দাখিল এবং ২০২৩ সালে বদরগঞ্জ মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক উত্তির্ন হই আমি ।
পরিবারের সহায়তা আমার কাছে বড় কিছু নয়, আমার বিশ্বাসী আমার বড় পরিচয় আর বাংলা সাহিত্য আমার সব চেয়ে বেশি পচন্দের বিষয় ।আমি ছোট বেলা থেকেই লিখি আর লেখা-লেখির মাঝে আমি এক অন্যরখম আনন্দ আর ভালোলাগা খুঁজে পাই ।মনে হয় সাহিত্য সাধনাই ডুবে গিয়ে আমি আমার নিজের অস্থিত্বকে ফিরে পাই ।আমি অনুমান করি সাহিত্যের মাঝে সীমাবদ্ধতা আছে, আছে সীমাহীনতা সাহিত্যের স্বাদ আছে, আছে বাহারী রং ।তাই তো আমার দীর্ঘ ইচ্ছা সাহিত্যের সেই বাহারী রং মেখে, সেই অনুপম স্বাদে আপন চিত্তকে প্রশান্ত করে সীমাহীনতার মাঝে সত্তাকে লীন করে দিবো ।
এই ক্ষুদে জীবনে আমার আহামরি কোনো কৃতিত্ব নেই, নেই কোনো সু-বিশাল পরিচয় কিন্তু আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, একজন মানুষ ঠিক ততটাই বিশাল, যতটা বিশাল তার স্বপ্ন ।

৩০.০১.২০২৪ ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

atiymisty
০১-০২-২০২৪ ১৫:০৭ মিঃ

আন্তরিকতার সাথে একবার পড়ার অনুরোধ রইলো .....
( অথই মিষ্টি )